কম্পিউটার এথিকস কী? কেন? কীভাব মেনে চলবেন?
আমরা প্রত্যেকেই জানি যে, প্রত্যেকেটা জিনিষ ব্যবহার এর একটা সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী রয়েছে। দেশের নাগরিক হিসেবে হোক বা প্রতিষ্টানের কর্মী হিসেবে সবক্ষেত্রেই রয়েছে আমাদের সুনির্দিষ্ট কতিপয় নিয়মাবলী যা আমাদের মেনে চলা দায়িত্বে এর মধ্যে পড়ে। ঠিক তেমনি ভার্চুয়াল জগতে বা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছ যা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
আমাদের বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অতীব গুরুত্বের সাথে দেখা হয় যে বিষয়টি তা হলো প্রযুক্তি ব্যবহারের আপনার নৈতিকতা। বর্তমান যুগে প্রায় সবক্ষেত্রেই কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যার কারণে এর সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানা জরুরী হয়ে পড়েছে। আপনি যদি এই সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে আপনি বিপদেও পড়তে পারেন। আর তাই আমি আজকে আপনাকে জানাবো যে, কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার এর সময় যে বিষয়গুলো আপনাকে জানতে হবে এবং কোন বিষয়গুলো থেকে আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে।
তো চলুন প্রথমেই জেনে নিই কম্পিউটার এথিকস সম্পর্কে। কম্পিউটার এর অধিক ব্যবহারের ফলে কম্পিউটার এথিকস বা কম্পিউটার এর নীতি শাস্ত্র নামে একটি স্বতন্ত্র শাখা সৃষ্টি হয়েছে। এই শাখার কাজ হলো যারা প্রফেশনাল ভাবে কম্পিউটিং করে থাকেন, তাদের কীভাবে কাজ করতে হবে, কীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এই বিষয়গুলোর বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার মাধ্যমে একটা নীতিমালা ঠিক করে দেয়া।
কিছু বিষয় রয়েছে যা এই কম্পিউটার এথিকস এর অধীনে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে আবার কতিপয় এমন বিষয় রয়েছে যা এখন সবচেয়ে বেশি আলেচিত হচ্ছে। যেমন: কপিরাইট ইস্যু। এটি একটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। একই সাথে আইন বিরোধী বটেও, কেননা কপিরাইট হলো অন্যের তৈরী করা শিল্প, সৃজনশীলতা চুরি করে ব্যবহার করা। কপিরাইট ইস্যু নিয়ে সব দেশেই কঠিন সব শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
কিছু বিষয় রয়েছে যা এই কম্পিউটার এথিকস এর অধীনে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে আবার কতিপয় এমন বিষয় রয়েছে যা এখন সবচেয়ে বেশি আলেচিত হচ্ছে। যেমন: কপিরাইট ইস্যু। এটি একটি খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। একই সাথে আইন বিরোধী বটেও, কেননা কপিরাইট হলো অন্যের তৈরী করা শিল্প, সৃজনশীলতা চুরি করে ব্যবহার করা। কপিরাইট ইস্যু নিয়ে সব দেশেই কঠিন সব শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
আর তাই চলুন আবশ্যকীয় এই নির্দেশনা গুলো সম্পর্কে জেনে নিই, সর্বপ্রথম ‘কম্পিউটার এথিকস ইন্সটিটিউট’ ১৯৯২ সালে এই বিষয়ে দশটি নির্দেশনা তৈরি করে। নির্দেশনা গুলো র্যামন সি. বারকুইন কম্পিউটার এথিকস সম্পর্কে তাঁর গবেষণা পত্রে উপস্হাপন করেছিলেন। এই নির্দেশনা দশটি হলো :
- কম্পিউটার ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতি করা যাবে না। অর্থাৎ কম্পিউটার ব্যবহার এর উদ্দেশ্য যেন ভালো জন্যে হয়।
- কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যের কাজের ব্যঘাত সৃষ্টি করা যাবে না। কম্পিউটার প্রযুক্তি যেন প্রত্যেকেই সাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারে।
- কম্পিউটার ব্যবহার করে কারো কম্পিউটার এর ডেটার উপর নজরদারি করা যাবে না।
- কম্পিউটার ব্যবহার এর উদ্দেশ্য যেন কারো ডেটা চুরি না হয়। এটাকে আরেক ভাবে বলে হ্যাকিং করা। যা নিষিদ্ধ এবং অনৈতিক কাজ বলে বিবেচিত।
- এটি ব্যবহার করে ভুয়া, বানোয়াট, বিদ্বেষপূর্ণ কোনো সংবাদ বা তথ্য ছড়ানো উচিত নয়। এটি আইনবিরোধী কার্যকলাপ।
- পেইড সফটওয়্যার ব্যবহার করা। কোনো ধরনের পাইরেসি বা কপি করা সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।
- বিনা অনুমতিতে কারো রিসোর্স ব্যবহার না করা।
- কারোর রিসোর্স করা গবেষণা নিজের বলে চালিয়ে না দেয়া বা দাবি করা।
- কম্পিউটার প্রোগামিং করতে চাইলে প্রথমে ভাবতে হবে সমাজের উপর এর প্রভাব কেমন হবে।
- কম্পিউটার ব্যবহার করে কারো সাথে যোগাযোগ করতে বা নিজের সহকর্মীদের সাথে ভালো এবং সৌজন্যতা প্রকাশ করতে হবে।